উদ্দীপক অংশ-১ : বাবা-মাকে কবে হারিয়েছে জানে না শফি। দূর সম্পর্কের কিছু আত্মীয়ও হয়তো আছে বা নেই। তাই তো তার কোনো বন্ধন নেই, নেই কোনো বাধা। মাঠ-ঘাট, বন- বাদাড়, হাট-বাজার এই সবই যেন তার। যখন যা পায় তা খেয়েই কাটিয়ে দেয় সারাদিন।
উদ্দীপক অংশ-২ : শফির কেউ নেই কিন্তু সে যেন সবার। আজিজ চাচার বাজারের ব্যাগ টানা, সাবিত্রী মাসীর ফুল বাগানে একটু পানি দেওয়া, আমেনা চাচীর জন্য একটু বাজার করে আনা সবার কাজ যেমন হাসি মুখে করে, সবাই ভালোও বাসে তাকে।
আলমগীর তালুকদারের পরিবার জৌলুস হারিয়ে এখন শ্রীহীন প্রায় । যতটুকু আছে তাও ঘটের তলানিতে। আলমগীর সাহেব এ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। কিন্তু আলমাস মননে আধুনিক বে তার মাথা ব্যথা নেই। বাবাকে বলে, “আমি এ যুগের ছেলে, শিক্ষাই আমার সম্পদ। আমায় নিয়ে ভেবো না, বাবা । জীবন পাল্টানোর পরশমণি আমার হাতের মুঠোয়।”
জেএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে নবম শ্রেণিতে পড়ছে সালেহা- তাও প্রায় পরে শেষ পর্যায়। তার ইচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করে আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। কিন্তু একদিন সালেহার বাবা বন্ধুর প্রবাসী ছেলের সাথে সালেহার বিয়ের পাকা ব্যবস্থা করে আসেন। খবর শুনে সালেহা ও তার মা প্রবল আপত্তি জানায়। সালেহার যা মেয়ের লেখাপড়ার মাঝখানে তাকে বিয়ে দিতে নারাজ। তার এক কথা আগে মেয়ের লেখাপড়া। তাছাড়া পাত্রকে না দেখে, খোঁজখবর না নিয়ে এত তাড়াতাড়ি তিনি মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে স্বামীকে জানিয়ে দেন। অবশেষে সালেহার বাবার ভুল ভাঙে এবং মেয়ের বিয়ে স্থগিত করেন।